মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৫ পূর্বাহ্ন
ভিশন বাংলা ডেস্ক: অফিস সহকারী (পিয়ন) পদে চাকরি করলেও ডিসি অফিসে দুর্দান্ত প্রতাপে দাপিয়ে বেড়াতেন স্বামীহারা সানজিদা ইয়াসমিন সাধনা। তার প্রভাবের মুখে সব সময় কর্মকর্তা কর্মচারীরা থাকতো তটস্থ। শুধু কর্মচারীরাই নয় উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেরও কেয়ার করতেন না এই সুন্দরী পিয়ন। চাকরি হারানোর শংকায় প্রতিবাদ করতে সাহস পেত না কেউ। তবে জেলা প্রশাসক আহমেদ কবিরের সঙ্গে আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল হবার পর সবাই মুখ খুলতে শুরু করেছেন।
জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী জানায়, সাধনা ২০১৮ সালে উন্নয়ন মেলায় হস্তশিল্পের স্টল বরাদ্ধ নেয়ার জন্য জেলা প্রশাসক আহমেদ কবিরের সাথে দেখা করেন। তার রূপে মুগ্ধ হয়ে বিনামূল্যে স্টল বরাদ্দ দেন জেলা প্রশাসক। উন্নয়ন মেলা চলাকালীন তাদের মধ্যে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে উঠে। পরবর্তীতে যা শারীরিক সর্ম্পকে রূপ নেয়।
এদিকে, চলিত বছরের শুরুতেই ডিসি অফিসে ২৭ জনকে অফিস সহায়ক পদসহ ৫৫ জনকে নিয়োগ করা হয়। সেই সর্ম্পকের সূত্র ধরে সানজিদা ইয়াসমিন সাধনা নিজে ও তার দুই আত্মীয় রজব আলী ও সাবান আলীকে অফিস সহায়ক পদে নিয়োগ পাইয়ে দেন।
সাধনা অফিস সহায়ক পদে যোগদান করার পর জেলা প্রশাসকের অফিস রুমের পাশে খাস কামরাটিতে মিনি বেড রুমে রূপান্তর করতে খাট ও অন্যান্য আসবাবপত্রসহ সাজ্জসজ্জা করেন। সেই রুমেই চলতো তাদের রঙ্গলীলা।
তবে ডিসি অফিসে গুঞ্জন রয়েছে, ছায়া ডিসি সাধনার হাতে লাঞ্চিত হয়েছেন একাধিক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা। ডিসির প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্নি দপ্তরে বদলি, নিয়োগ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি বাণিজ্য করে হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা। জেলা প্রশাসকের স্বাক্ষরিত কাজে সাধনাকে ম্যানেজ করতো সুবিধাভোগীরা। সবার মাঝেই ছায়া ডিসি হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছিলেন এই প্রভাবশালী পিয়ন।
প্রসঙ্গত, নিজ অফিস কক্ষে জামালপুরের জেলা প্রশাসক আহমেদ কবীরের সাথে সাধনার আপত্তিকর দুইটি ভিডিও (চার মিনিট ৫৭ সেকেন্ড ও ২৪ মিনিট ৫৯ সেকেন্ড) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়। এরপর থেকে সমালোচনার ঝড় উঠে বিভিন্ন মহলে। তবে, ভিডিওটি সাজানো দাবি করেন জেলা প্রশাসক আহমেদ কবীর।